বিসিএস ডাইজেস্ট

বাংলার প্রাচীন জনপদ ও শাসনামল

মৌর্যযুগে বাংলার প্রাদেশিক রাজধানী ছিল—পুণ্ড্রনগর, গৌড়ের— কর্ণসুবর্ণ, রাঢ়ের কোটিবর্ষ।

চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজ্যসভার গ্রিক দূত ছিলেন— মেগাস্থিনিস, মেগাস্থিনিস ভারতবর্ষ সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য লিপিবদ্ধ করেন- ইন্ডিকা গ্রন্থে।

বরেন্দ্র বলতে বর্তমানে বুঝায়— রাজশাহী অঞ্চল/বিভাগকে; রাজশাহীর উত্তরাংশ, বগুড়ার পশ্চিমাংশ, রংপুর ও দিনাজপুরের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত ছিল— বরেন্দ্রভূমি।

প্রাচীনকালে সমতট বলতে বুঝাতে— কুমিল্লা ও নােয়াখালী অঞ্চলকে, সমতট রাজ্যের কেন্দ্রস্থল ছিল— কুমিল্লার বড়কামতায়।

প্রাচীন গৌড় নগরীর অংশ বিশেষ অবস্থিত— চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়।

সর্বপ্রথম গৌড় নামের উল্লেখ পাওয়া যায় পাণিনির গ্রন্থে।

বাংলাদেশের পূর্বাংশে অবস্থিত ছিল প্রাচীন বাংলার হরিকেল জনপদ।

বর্তমান সিলেট জেলা প্রাচীনকালে অন্তর্ভুক্ত ছিল— হরিকেল জনপদের।

প্রাচীন রাঢ় জনপদের অবস্থান বর্ধমান।

মৌর্য ও গুপ্ত বংশের রাজধানী ছিল— গৌড়, সুলতানী আমলেও বাংলার রাজধানী ছিল— গৌড়।

এই বিভাগ থেকে আরো পড়ুন

মহাস্থানগড়— এক সময় বাংলার রাজধানী ছিল; তখন তার নাম ছিল— পুণ্ড্রনগর।

প্রাচীন বাংলায় রাজ্য ছিল দুটি স্বাধীন বঙ্গ ও স্বাধীন গৌড় রাজ্য; বাঙালি জাতির উৎপত্তি বঙ্গ নাম থেকে।

ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম সাম্রাজ্য— মৌর্য সাম্রাজ্য, ৩২১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ভারতে মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য। তাঁর রাজধানীর নাম- পাটলিপুত্র (পালিবােথরা)।

চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন— চাণক্য, যার ছদ্মনাম— কোটিল্য; কোটিল্য রচিত বিখ্যাত গ্রন্থ- অর্থশাস্ত্র।

মৌর্য বংশের তৃতীয় সম্রাট অশােক, উত্তর বাংলায় মৌর্য শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়– সম্রাট অশােকের সময়; কলিঙ্গ যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে সম্রাট অশােক গ্রহণ করেন— বৌদ্ধধর্ম। তাঁকে বলা হয়- বৌদ্ধ ধর্মের কনস্ট্যানটাইন।

ভারতে গুপ্ত বংশ প্রতিষ্ঠিত হয়—৩২০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে, গুপ্ত বংশের রাজধানী ছিল— পাটলিপুত্র, বাংলায় গুপ্তবংশের রাজধানী ছিল— পুণ্ড্রনগর।

গুপ্তবংশের প্রতিষ্ঠাতা প্রথম চন্দ্র গুপ্ত; শ্রেষ্ঠ রাজা- সমুদ্রগুপ্ত; শেষ রাজা দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত; যার উপাধি ছিল— বিক্রমাদিত্য।

গ্রিক বীর আলেকজান্ডার ভারত আক্রমণ করেন- ৩২৭-৩২৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে; আলেজান্ডার অগ্রসর হয়েছিলেন- সিন্ধু নদীর তীর পর্যন্ত; তাঁর শিক্ষক ছিলেন এরিস্টটল।

চারজন গ্রিক গুরু শিষ্যের ক্রম হলাে— সক্রেটিস → প্লেটো → এরিস্টটল → আলেকজান্ডার।

পরিব্রাজক ফা-হিয়েন বাংলায় আসেন দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের শাসনামলে (৩৯৯ খ্রিস্টাব্দে), তিনি ছিলেন প্রথম চৈনিক পরিব্রাজক। আর বাংলায় প্রথম পরিব্রাজক ছিলেন মেগাস্থিনিস।

চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ-এর দীক্ষাগুরু ছিলেন শিলভদ্র, শিলদ্র আচার্য ছিলেন— নালন্দা বিহারের; নালন্দা বিহার প্রতিষ্ঠিত হয় খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতকে, এটি বর্তমানে ভারতের বিহার রাজ্যে অবস্থিত।

বাংলার প্রথম স্বাধীন রাজা শশাঙ্ক, তিনি বাংলার জনপদগুলােকে গৌড় নামে একত্রিত করে রাজধানী স্থাপন করেন কর্ণসুবর্ণে (মুর্শিদাবাদে)। তার উপাধি ছিল— মহাসামন্ত, প্রথম জীবনে তিনি ছিলেন কৃষক, ৭ম শতকের শুরুতে তিনি সিংহাসনে আরােহণ করেন।

বাংলায় প্রথম বংশানুক্রমিক শাসন সূচিত হয়— পাল বংশের মাধ্যমে; পাল বংশের রাজাগণ বাংলায় রাজত্ব করেন প্রায় চারশ বছর।

পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা— গােপাল; শ্রেষ্ঠ রাজা ধর্মপাল; শেষ রাজা রামপাল।

সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা হেমন্ত সেন, শ্রেষ্ঠ সম্রাট বিজয় সেন, শেষ রাজা লক্ষণ সেন (বাংলার শেষ হিন্দু রাজা); সেন রাজা বল্লাল সেন রচিত গ্রন্থ— দানসাগর ও অদ্ভুত সাগর।

শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলায় দীর্ঘদিন যােগ্য শাসকের অভাবে যে অরাজক ও বিশৃঙ্খলা বিরাজ করে তাকে বলা হয়- মাসান্যায়; সময়কাল-৭ম-৮ম শতক।

বৌদ্ধধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ; বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনী (নেপাল); বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থের নামত্রিপিটক ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button